বিকাল ৪:১৭,   বুধবার,   ৯ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ৬ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাঁশের ব্যারিকেড : লকডাউন না মানার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার :
মহামারি করোনাভাইরোসের কারণে দেশের বিভিন্ন জেলায় লকডাউন চলছে। গত রোববার বিকেল থেকে সুনামগঞ্জেও প্রশাসনিক লকডাউন শুরু হয়েছে। নিদিষ্ট কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
প্রশাসনিক লকডাউনের পর সুনামগঞ্জ শহরে বিভিন্ন এলাকায় লকডাউনের নামে রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বাঁশ ফেলে রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়া হচ্ছে। এতে জরুরি কাজে বের হওয়া সাধারণ মানুষ অনেক বিপাকে পড়েছেন। অন্যদিকে ব্যারিকেড দেয়া এলাকায় পুলিশের লোকজন টহল দিতে পারছে না। ফলে এসব এলাকায় লকডাউন মানছে না অনেকেই। রাস্তায় আড্ডা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।


শহরের বাঁধনপাড়া, উকিলপাড়া, আলীপাড়া, বিলপাড়, ষোলঘর, উত্তরষোলঘর(ধোপাখালি ব্রিজের আগে) বেশ কিছু এলাকায় স্থানীয় মানুষজন প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই বাঁশ দিয়ে র‌্যারিকেড তৈরি করেছেন। যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ করেই তৈরি করা হচ্ছে ব্যারিকেড। তবে ষোলঘর(পুরাতন মসজিদ এলাকা), বিলপাড়সহ কিছু জায়গায় সেচতন মানুষজন ব্যারিকেড ভেঙে দিয়েছেন। উত্তর ষোলঘরসহ(ধোপাখালি ব্রিজের আগে) মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বাঁশের র‌্যারিকেড ছিল।
আলতাফুর রহমান নামের এক চাকরিজীবী বলেন, বাসায় কেউ অসুস্থ হলে রাস্তায় র‌্যারিকেড কারণে হাসপাতালে নেয়া যাবে না। এর দায় কে নেবে?
মনহর আলী নামের আরেক জন বলেন, র‌্যারিকেডের কারণে পাড়া মহল্লায় সহজেই আড্ডা দেয়া যাবে, এসব এলাকায় পুলিশও ঢুকতে পারবে না। পুলিশের বিষয়টিতে নজর দেয়া জরুরি।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটি আমাদের বিষয় নয়, সেটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেখবেন ব্যারিকেডগুলো রাখবেন কি না।
পরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন নাহার রুমা বলেন, আমি গতকাল কয়েকটি জায়গা দেখেছি এগুলো এবং সাথে সাথে ওইসকল ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের নির্দেশ দিয়েছি এগুলো উঠিয়ে নেওয়ার জন্য। তাছাড়া এলাকাগুলোতে এরকম বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দেওয়ার কোন নিয়ম নেই এবং আমরা অনুমতি দিবো না।