রাত ১০:৫৩,   মঙ্গলবার,   ৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

কৃষিতে আমরা যদি সফল হই, করোনার আঘাত কেটে যাবে -কৃষিমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি :
কৃষি মন্ত্র ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছন, সরকার কৃষকেদর প্রতি বছর যে ১৪হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়, সেটা ছিল ৯ পাসেন্ট হারে সুদ, সেটা কমিয়ে সরকার ৪পাসেন্ট করেছে। এখন ঋণের পরিমান হবে ১৯হাজার কোটি টাকা। আগামী আউস মৌসুমে ফলন যাতে বেশি তার জন্য প্রধানমন্ত্রী ১৫০ কোটি টাকা কৃষকদের প্রণোদনা দিয়েছেন। করোনার প্রভাবটা দীর্ঘস্থায়ী হবে, সেটা বিবেচনা করে, আগামী রবি ফসলের পরিকল্পনা এখনই করছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বীজের যেন কোন সংকট না হয়, এখনই বীজ সংগ্রহ করার জন্য। এক ইঞ্জি যেন জায়গা খালি না থাকে, আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
ইতিমধ্যে সুনামগঞ্জের ৭০ ভাগ ধান কেটে ফেলা হয়েছে। কৃষিতে আমরা যদি সফল হই, করোনার আঘাত কেটে যাবে।
তিনি বলেন, হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হওয়া কৃষকদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ১লক্ষ করে অর্থ সহায়তা দেয়া হবে। বজ্ররোধক স্তাপনের জন্য সরকারের পরিকল্পনা আছে।
মন্ত্রী বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জের সাংহাই হাওরের বোরো আবাদ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এসময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, সরকার কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতকেই বর্তমানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এ’দুটি খাত একটি অপরের পরিপূরক। এই দুই খাত ছাড়া বাঁচতে পারবো না। চলতি বছরের বাজেট দুই মাস বাকি আছে, প্রধানমন্ত্রী দুই মাসে স্বাস্থ্য খাতে ২২হাজার কোটি খরচ করার সিদ্বান্ত নিয়েছেন। কৃষি খাতকে তুলে ধরতে হবে, আধুনিকায়ন করতে হবে। যাতে করে আমরা বেশি করে ফলন ফলাতে পারি।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক, ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, মহিলা সংসদ সদস্য শামিমা শাহরিয়া, জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ, জেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, পৌর মেয়র নাদের বখত, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল।
পরে কৃষিমন্ত্রী সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লালপুর এলাকায় সরকারিভাবে ধান সংগ্রহের উদ্বোধন করেন।