রাত ১০:১৬,   রবিবার,   ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ৩রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৪৪ হাজার পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার :
ভারতের পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সুনামগঞ্জের ৯ টি উপজেলার প্রায় ৪৪ হাজার ৪১০ টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শনিবার রাতে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাযায়, ভারতের চেরাপুঞ্জি ও মেঘালয়ের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢল ও সুনামগঞ্জের টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সুনামগঞ্জ জেলার ৩২ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। যার মধ্যে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪টি, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ৫টি, তাহরিপুর উপজেলার ৭টি, জামালগঞ্জ উপজেলায় ২টি, ছাতক উপজেলার ৫টি, দোয়ারাবাজার উপজেলার ২টি, শাল্লা উপজেলার ১টি, ধর্মপাশা ২টি এবং জগন্নাথপুর উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এদিকে প্লাবিত এলাকাগুলোতে ৪৪ হাজার ৪১০ টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় ৫ হাজার, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ৫ হাজার, তাহিরপুর উপজেলায় ৩ হাজার, জামালগঞ্জ ৪০০, ছাতক উপজেলায় ১৯ হাজার ৩৯৬, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১১ হাজার, শাল্লা উপজেলায় ১৪, ধর্মপাশা উপজেলায় ২৫০, এবং জগন্নাথপুর উপজেলায় ৫০ টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৪৮টি পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে।
অন্যদিকে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি বন্যা মোকাবেলায় শুকনো খাবার প্রস্তুতসহ কন্ট্রোল রুম খোলা, স্থায়ী নৌয়ান প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বিশুদ্ধ পানি, স্যালাইন এবং পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আহাদ বলেন, সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। শনিবার রিপোর্ট অনুযায়ী ৪৪ হাজার ৪১০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া খবর পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে খাবার সরবরাহ করার জন্য বলা হয়েছে এবং আমরা ৭৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছি। এছাড়া যেকোনো সমস্যা সমাধান ও সহযোগিতার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।