সকাল ৬:২৬,   রবিবার,   ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সুনামগঞ্জে বন্যার্তদের বিশুদ্ধ পানি দিচ্ছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল

স্টাফ রিপোর্টার :
সুনামগঞ্জে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। সুনামগঞ্জে দ্বিতীয় বারের বন্যায় চরম পানি সংকট দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যাান্টের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ শহর ও সদর উপজেলার প্রায় ১০ আশ্রয় কেন্দ্র বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়েছে। এই প্ল্যাান্টের মাধ্যমে প্রতি ঘন্টায় ৬শ লিটার পানি বিশুদ্ধ করে সরবরাহ করা হয়।
সুনামগঞ্জ শহরের সবচেয়ে বড় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে সকালে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যাান্টের মাধ্যমে পানি সরবরাহ শুরু করা হয়। পরে পর্যায় ক্রমে আরও বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে পানি সরবরাহ করা হয়। বিশুদ্ধ পানির সংকট হবে না বলে জানিয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
বন্যার্থদের মধ্যে পানি সরবরাহ করতে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আবুল কাশেম। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ক্যাশিয়ার ইয়াকুব মিয়া সহ দপ্তরের অন্য সকল সদস্যরা।
এছাড়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানাযায়, জেলায় উপজেলা কার্যালয়ের মাধ্যমে যে সকল আশ্রয় কেন্দ্রে নলকূপ ছিল না সে সকল আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে ৪০ নতুন নলকূপ বসানো হয়েছে। যে কোনও আশ্রয় কেন্দ্রে জরুরী প্রয়োজনে নলকূপ স্থপনে প্রস্তুত রয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
অন্যদিকে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভা গুলোতে ১০লক্ষ পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। নলকূপ পরিস্কার করার জন্য ৬শ কেজি ব্লিচিং পাউডার প্রদান করা হয়েছে। দুইটি মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যাান্টের মাধ্যমে জরুরী ভিত্তিতে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। ১০ ল্যাট্রিন স্থাপন করা হয়েছে। একই বিভিন্ন উপজেলায় স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভাল রাখার জন্য আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে স্থাপনের জন্য ৩শ ল্যাট্রিন দেয়া হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আবুল কাশেম বলেন, আমরা বন্যার্থ মানুষের সেবা দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শুধু জেলায় নয় উপজেলা গুলোতেও কড়া নির্দেশনা দেয়া রয়েছে যাতে কেউ বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত না হয়। বিশুদ্ধ পানি পান করনে অনেক রোগবালাই থেকে রক্ষা পাবে গ্রামের লোকজন।