রাত ১:২৫,   শনিবার,   ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ১লা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণ সুনামগঞ্জে তীব্র তাপদাহে স্থবির জনজীবন

নোহান আরেফিন নেওয়াজ :
প্রচণ্ড গরমে দক্ষিণ সুনামগঞ্জে নাভিশ্বাসে মানুষ। বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। আগুন ঝরা রোদে হাঁপিয়ে উঠছে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের মানুষের জনজীবন। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে হা-হুতাশন করছে সবাই।টানাবৃষ্টি আর পরপর বন্যার পর প্রকৃতির এই পরিবর্তন সব প্রাণেই ছড়িয়েছে অস্থিরতা আর অস্বস্তি। প্রকৃতিতে সুনসান নিরবতা। নড়ছেনা গাছের পাতাও। হঠাৎ হাওয়া বইলেও এ যেনো গরম ছেক। পথ-ঘাট, বিপনীবিতান পুড়ছে রোদের তাবদাহে।  কর্মহীন করে তুলছে শ্রমজীবি মানুষদের।
গরম থেকে রক্ষা পেতে কেউ বসছে গাছ তলায়। হাট-বাজারে মানুষের  উপস্থিতি কম থাকে দিনের বেলা। এভাবে চলতে থাকলে দুর্ভোগের মাত্রা বাড়তে থাকবে বৈকি কমবে না বলে জানিয়েছেন ভোক্তভোগীরা।
এদিকে হঠাৎ গরম আবহাওয়ায় দেখে দিয়েছে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব। বিশেষ করে শিশু বয়োজ্যেষ্ঠরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্থানীয় বাজার ও হাসপাতালগুলোতে রোগীর উপস্থিতি চোখে পড়ার মত।
প্রচন্ড গরম প্রভাব ফেলেছে পেশাজীবী মানুষের মাঝে। দিনের প্রথমভাগে মানুষ কাজ শুরু করলেও তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তৎপরতা কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে তেমন একটা বাইরে বের হচ্ছেন না। দিনের সূর্যের তাপ রাতে না থাকলেও সূর্যতাপের রেশ থাকছে মধ্যরাত পর্যন্ত।
গতকাল শনিবার দক্ষিণ সুনামগঞ্জে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ ১ ডিগ্রি কমে আসলেও কমেনি তাপের প্রখরতা।  ভ্যাপসা গরমে আরও অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে মানুষ। গরমে মানুষ, পশু-পাখিসহ সব প্রাণীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত নেমে এসেছে।
সোলাইমান নামে এক রিকশাচালক বলেন, গত কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড গরম পড়েছে। সকাল বেলা রিকশা চালাতে পারলেও প্রচন্ড গরমে দুপুরে বের হওয়াই যায় না। রইদের তাপে মাথা ঘুরানি দেয়। তাছাড়া রাস্তাঘাটে মানুষও কম। এভাবে চলতে থাকলে আমারা গরীব মানুষ যাবো কই।
পাগলা উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার ডা.হুমায়ুন কবীর বলেন, জ্বর, সর্দি, কাশি গরমজনিত রোগবালাই বেড়ে চলেছে। প্রতিটি ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি মিলছে না। প্রচন্ড গরমে সবচেয়ে বেশি বিপাকে শিশু ও বয়স্করা। প্রচন্ড গরমে বেশি বেশি পানি,  তরল খাবার, ফলের রস ও সুতি কাপড় পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।