রাত ১:৫০,   মঙ্গলবার,   ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

তিন পরিবারকে সমাজিক ভাবে বয়কট করা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৫০ জন

ছাতক প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় তিন পরিবারকে সামাজিক ভাবে বয়কট করে একঘর করা নিয়ে দুই পঞ্চায়েত গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ১৫ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ ও ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে এ সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দক্ষিন খুরমা ইউপির খুরমা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই সংঘর্ষ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বিগত কয়েক দিন মহব্বতপুর গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে আফজল(২২) এর সাথে একই গ্রামের কুসুম আলীর ছেলে আলী আহম্মদ(৩৫) এর মধ্যে পূর্ব বিরোধের জেড়ে তারাবীর নামাজের পরে মহব্বতপুর মসজিদের সামনে মারামারি ঘটনা ঘটে।
পরবর্তীতে আমজাদ আলী এ বিষয়ে খুরমা গ্রামের পঞ্চায়েতী মুরুব্বী আব্দুল খালিককে (৪৫) জানালে মহব্বতপুর গ্রামের আবুল বশর এবং আফরোজ আলীর পক্ষের লোকজনরা মিলে আমজদ আলী, ইয়াকুব আলী এবং তোরাব আলী এই তিন পরিবারের লোকজনদের একঘরে করে রাখার ঘোষনা দেন।
বিষয়টি গতকাল রাতে খুরমা গ্রামের পঞ্চায়েত আব্দুল খালিককে জানালে আব্দুল খালিক তার সাথের লোকজনদের সাথে নিয়া মহব্বতপুরে গিয়ে মহব্বতপুর পঞ্চায়েতের কাছ তিন পরিবারকে একঘরে করে রাখার বিষয়টি জানতে চাইলে খুরমা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং মহব্বতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়।
এ বিরোধের জেরে মহব্বতপুর গ্রামের আবুল বশর মুন্না এবং আফরোজ আলী গ্রামের লোকজনদেরকে মসজিদের মাইকের মাধ্যমে ঘোষনা দিয়ে মানুষকে খুরমা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জড়ো করেন।

পরে খুরমা এবং মহব্বতপুর গ্রামের আনুমানিক ৩০০-৪০০ লোকজন দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘর্ষে লিপ্ত হন।

উভয় পক্ষের গুরুতর আহতরা হল, খুরমা গ্রামের জোহান (২০), ফাহিম(২০), তারেক(২০), সালামত(৫০), ৫. নজমুল ইসলাম মিলাদ(৩৫), পিতা-অজ্ঞাত, মুনতাহা (১৫), লিয়াকত আলী(৩০), ফরিদ মিয়া(৩০), এ ছাড়াও আরও আহত হয়েছেন প্রায় ৫০/৬০ জন।

ছাতক সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রণজয় চন্দ্র মল্লিক জানান, সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় পুলিশ ১৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল হইতে ০৩ জনকে আটক করা হয়েছে।