দুপুর ২:৫৩,   বুধবার,   ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

আবাসন সংক‌টে স্টু‌ডেন্ট ভিসায় আসা শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যুক্তরাজ্য :
স্ব‌প্নের দেশ যুক্তরা‌জ্যে ‘স্টু‌ডেন্ট ভিসায়’ এ‌সে নানা ভোগা‌ন্তি‌তে পড়‌ছেন শিক্ষার্থীর। ভোগা‌ন্তি‌র তা‌লিকায় যুক্ত হ‌য়ে‌ছে আবাসন সংকট। বাসা ভাড়া অথাৎ আবাস‌নের সমস্যার কার‌ণে শিক্ষার্থীদের বাড়‌তি খরচ গুন‌তে হ‌চ্ছে। অ‌নেক সময় টাকা বাঁচা‌তে গি‌য়ে গি‌য়ে অ‌নে‌ক শিক্ষার্থী গাদাগা‌দি ক‌রে এক রু‌মের বাসায় থাক‌ছেন।
‌শিক্ষার্থী ও কনসাল‌টে‌ন্সি এ‌জে‌ন্সি‌রে দা‌য়িত্বরত স‌ঙ্গে কথা ব‌লে জানা গে‌ছে, গত ক‌য়েক বছ‌রে দে‌শে শত শত কনসাল‌টে‌ন্সি ফার্ম গ‌ড়ে উ‌ঠে‌ছে। যুক্তরাজ্য, কানাডা, মালয়ে‌শিয়া, জাপান তু‌র্কি, আ‌মে‌রিকাসহ বি‌ভিন্ন দে‌শের বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য়ে শিক্ষার্থী পাঠা‌নোর কাজ ক‌রে থা‌কে তাঁরা। গত বছর থে‌কে যুক্তরা‌জ্যে স্টু‌ডেন্ট ভিসা সহজ করায় এসব কনসাল‌টেন্সি ফার্মের ব্যবসা ফু‌লে‌ফে‌পে উ‌ঠে‌ছে। এ‌জে‌ন্সি গু‌লো মূলত বি‌শ্বের বি‌ভিন্ন দে‌শের বিশ্ব‌বিদ্যালয় গু‌লো‌র অফার লেটার এ‌নে দেয়া, খর‌চের বিষয় এবং শিক্ষার্থী‌দের চুড়ান্ত ফাইল তৈ‌রি‌তে সহায়তা ক‌রে। প‌রে ভিসা পে‌লে বিমান টি‌কিট থে‌কে শুরু বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য়ের পড়া‌শোনাকালীন থাকা, খাওয়া, কা‌জ যোগ‌ার করা সব শিক্ষার্থী‌দে‌র কর‌তে হয়। ভিসা প্রা‌প্তি বাংলা‌দেশ থে‌কে করা গে‌লেও কা‌জের সংস্থান, খাওয়া, বাসা ভাড়ার বিষয়‌টি অন্য দে‌শে গি‌য়ে শিক্ষার্থীরা নি‌জেরাই ক‌রে থা‌কেন। গত এক বছর ধ‌রে শত শত বাংলা‌দেশী শিক্ষার্থী যুক্তরা‌জ্যে আস‌ছেন। যুক্তরা‌জ্যে এ‌সে তাঁরা কা‌জের সংক‌টের পাশাপা‌শি আব‌াসন সংক‌টেও ভুগ‌ছেন।
‌লিংকন্স ইন সোসাই‌টির ব্যা‌রিস্টার এট লো’র স্টু‌ডেন্ট ইশ‌তিয়াক আলম পিয়াল ব‌লেন,
অনেক স্টুডেন্ট গত দুই বছরে ইংল্যান্ডে এসেছে এবং আসছে। স্টুডেন্টদের মুল ইনকাম সোর্স হিসাবে ডেলিভারি জব না থাকলে হয়তো ভালো বিপদেই পড়তে হতো। তাই ইনকাম সোর্স নিয়ে ততোটা চিন্তা করতে হচ্ছে না। মুল সমস্যাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে একোমোডেশন। যারা ব্যাচেলর থাকছে তাদের বাসা নিয়ে আসলেই সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টা এমন না যে বাসা নেই, মুল সমস্যা হচ্ছে ভাড়া অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে সবাই। আত্বীয় স্বজন থাকলে এখানে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায় কিন্তু একটা সময় তো নিজের দায়িত্ব নিজেই নিতে হয়। লন্ডন শহরে জোন ২-৩ এলাকায় সিঙ্গেল রুম ৫০০ পাউন্ডে পাওয়াটাও কষ্টকর হয়ে গেছে। শেয়ার রুমে থাকতে গেলেও দুজন মিলে ৬০০-৭০০ পাউন্ড গুনতে হয়। এদিক থেকে যারা লন্ডনের বাইরে থাকছেন তারা আবার স্বস্তিতে আছেন। ইউ‌নিভা‌র্সি‌টি অফ বেড‌‌ফার্ড‌শেয়া‌রের শিক্ষার্থী রহুল আ‌মিন ব‌লেন, এখা‌নে বাসা ভাড়া পাওয়া খুব কষ্টসাধ্য, ব্যাচেলার‌দের অ‌নে‌কে ভাড়াও দি‌তে চায় না। আর বাসা পাওয়া গে‌লেও অ‌নেক সময় ভাড়া বে‌শি দা‌বি ক‌রে মা‌লিক। ফ‌লে যুক্তরা‌জ্যে শিক্ষার্থী‌দের আবাসন সংকট প্রকট। কাজ থে‌কে যা আয় হয় তাঁর বড় এক‌টি অংশ বাসা ভাড়ায় চ‌লে যায়। ‌বিশ্ব‌বিদ্যালয় গু‌লোর উ‌চিত কম দা‌মে আমা‌দের আবাস‌নের ব্যবস্থা করা।
ওয়ান এডু‌কেশ‌নের সুনামগ‌ঞ্জের দা‌য়িত্বপ্রাপ্ত সুমা তালুকদার ব‌লেন, আমা‌দের দা‌য়িত্ব শিক্ষার্থী‌দের অফার লেটার, বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য়ের খর‌চের বিষয় দেখা, চুড়ান্ত ফাইল তৈ‌রি করা। আবা‌সনের বিষয়‌টি শিক্ষার্থীদের নি‌জে‌দের ব্যবস্থা কর‌তে। অ‌নেক বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য়ের নি‌জে‌দের আবাসন ব্যবস্থা থা‌কে, ত‌বে তা অ‌নেক ব্যববহুল।