সকাল ১১:১৭,   শুক্রবার,   ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

করোনায় ইউরোপে বেশি প্রাণহানি যুক্তরাজ্যে

নিউজ ডেস্ক :
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে যুক্তরাজ্যে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। তবে আক্রান্তের দিক দিয়ে ইউরোপে শীর্ষে স্পেন। দেশটিতে ২ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তে যুক্তরাজ্য এখন বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মে) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডওমিটারের উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া যায়।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থের দিক দিয়ে সারা বিশ্বে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে সাড়ে ১২ লাখ ৬৩ হাজার ২২৪ জন মানুষ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৭৪ হাজার ৮০৯ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ১৩ হাজার ১০৯ জন।
যুক্তরাজ্যে ২ লাখ ১ হাজার ১০১ জন আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩০ হাজার ৭৬ জন। তবে কতজন দেশটিতে কতজন রোগী সুস্থ হয়েছেন তা এখন পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি।
ব্রিটেনে ১ লাখ ৭০ হাজার ৬৮১টি সক্রিয় থাকা কেইসের মধ্যে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় আছেন ১ হাজার ৫৫৯ জন মানুষ।
প্রতি মিলিয়নে ২ হাজার ৯৬২ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে বরিস জনসনের দেশে। প্রতি ১০ লাখে সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা ৪৪৩ জন।
৬ কোটি ৭৮ লাখ জনসংখ্যার এই দেশে প্রায় সাড় ১৪ লাখ মানুষের নমুনা নিয়ে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রতি মিলিয়নে পরীক্ষা করানোর হার ২১ হাজার ৩৩০ জন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। তবে তিনি হাসপাতালে থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এখন কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।
বিশ্বে ১০টি দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ১০ লাখ ও স্পেন ও ইতালিতে এ সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত লাখ ছাড়ানো অন্য দেশগুলো হলো যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, তুরস্ক, ব্রাজিল ও ইরান।
চীনার উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট কোভিড-১৯ রোগে বিশ্বব্যাপী মোট আক্রান্ত ৩৮ লাখ ৩৬ হাজার ৬০১ জন। এর মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ২ লাখ ৬৫ হাজার ৩৬৬ জন আর সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৮ হাজার ৯৩ জন।
করোনার উৎপত্তিস্থল চীন বর্তমানে এ সঙ্কট কাটিয়ে উঠেছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ৮৮৫। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৩ এবং আরোগ্য লাভ করেছেন ৭৭ হাজার ৯৫৭ জন। ইতিমধ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে উহান শহর। সেখানে জীবনযাত্রা এখন স্বাভাবিক হয়েছে।