রাত ১১:২০,   মঙ্গলবার,   ১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ৬ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার পর ৬ টুকরো, আসামীদের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

স্টাফ রিপোর্টার:
জগন্নাথপুর উপজেলার অভি ফার্মেসীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার পর ছয় টুকরা করার ঘটনায় হত্যাকারী জিতেশ গোপকে ও তার দুই বন্ধুকে ৮ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় সিআইডি। পরে আদালত ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গতকাল ঢাকায় সিআইডি সংবাদ সম্মেলনে জানায় প্রাথমিক ভাবে ঘাতকরা জ্যোস্নাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

শাহানাজ পারভীন জ্যোস্না হত্যাকান্ডের পর ঢাকা অভি ফার্মেসীর মালিকে জিতেশ গোপকে ঢাকা থেকো গ্রেপ্তার করে সিআইডি এবং তার সহযোগী দুই বন্ধু অনজিৎ চন্দ্ৰ গোপ ও অসীত গোপকে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

উল্লেখ্য, জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের আবদুল মতিন মার্কেটের অভি ফার্মেসির ভেতর থেকে শাহানাজ পারভীন জ্যোস্না (৩৫) নামের ওই নারীকে ধর্ষণের হত্যা করে মরদেহ ছয় টুকরো করে গুম করার চেষ্টা করছিল জিতেশ ও তার বন্ধুরা।

শাহানাজ পারভীনের স্বামী ছুরুক মিয়া দীর্ঘদিন ধরে সৌদিপ্রবাসী। ছুরুক মিয়ার গ্রামের বাড়ি উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নারিকেলতলা গ্রামে। আর ওই নারীর বাবার বাড়ি উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের শেওড়া গ্রামে। শাহানাজ জগন্নাথপুর পৌরসভার পেছনের কলোনিতে ছেলেমেয়ে নিয়ে নিজ বাসায় বসবাস করতেন।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ওষুধ কেনার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন শাহানাজ। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে স্বজনদের সন্দেহ হলে ফার্মেসির মালিকের বাসায় খোঁজ করে জানতে পারেন তিনি পরিবার নিয়ে ভোরে পালিয়েছেন।

পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাজেদুল ইসলামের উপস্থিতিতে পুলিশ অভি ফার্মেসির তালা ভেঙে ভেতরে বিছানার চাদর দিয়ে মোড়ানো শাহানাজের মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে ফার্মেসির মালিক জিতেশ গোপ পলাতক। তিনি কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার সইলা গ্রামের যাদব গোপের ছেলে। ১০ বছর ধরে জগন্নাথপুর বাজারে ওষুধের দোকানে চাকরি করেন। এক বছর ধরে ওই মার্কেটে নিজে অভি ফার্মেসি খুলে ব্যবসা শুরু করেন।
রিমান্ড মঞ্জুরের তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক মো.বদরুল আলম তালুকদার।