ভোর ৫:১৩,   সোমবার,   ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বাঁধ মেরামতের অর্থের প্রয়োজন হলে অর্থ মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করবও- পরিকল্পনামন্ত্রী

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:
হাওরের বাঁধ নির্মাণে কোনো ধরনের অনিয়ম, দূর্নীতি বরদাশত করা হবে না বলে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। তবে এখন দুষাদুষির সময় নয়। সবার আগে হাওররক্ষা করতে হবে।

শনিবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে মন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সর্ববৃহৎ নলুয়া হাওরের বোরো ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধ পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

এম এ মান্নান আরও বলেন, বাঁশ, বস্তা ও মাটিসহ বাঁধ রক্ষায় যেসব উপকরণ প্রয়োজন তা যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে। ইতি মধ্যে অনেক অর্থ ব্যায় হয়ে গেছে আমাদের। এখন মেরামতের জন্য কিছু অর্থের প্রয়োজন হলে আমি অর্থ মন্ত্রণালয়কে অর্থের জন্য চিটির মাধ্যমে সুপারিশ করবও। মিলেমিশে সবাই বাঁধরক্ষা কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগে যে ভয়ঙ্কর অবস্থায় ছিল হাওরের। এটি কমেছে। পানির চাপও কমেছে। প্রাকৃতি অনেকটা ভালো। যদিও আমরা সম্পূর্ণ বিপদমুক্ত নই। হাওর পরিদর্শনকালে একটি আনন্দের বিষয় দেখতে পেলাম কৃষকরা ধান ধানছেন। ১০ শতাংশ ধান কাটা শুরু হয়েছে। দুই তিনদিনের মধ্যে ৫০ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে আশা করা যাচ্ছে।

হাওরের কয়েকটি প্রকল্পে অনিয়ম দূর্নীর্তির অভিযোগ রয়েছে, এ ব্যাপারে এমএ মান্নান বলেন, এখন কাজ নিয়ে দুষাদুষির সময় নয়, আগে হাওরের ফসলরক্ষায় আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবে হাওরের বাঁধের কাজে কোনো ধরনের অনিয়ম দূর্নীতি সহ্য করা হবে না।

এরআগে মন্ত্রী নলুয়া হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের চার ও পাঁচ নম্বর প্রকল্পের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ এলাকায় পরিদর্শন করে স্থানীয় কৃষক ও বাঁধের কাজে সংস্পৃক্ত লোকজনের সঙ্গে কথা বলে খোঁজ খবর নেন।

পরিদর্শনকালে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের জাহাঙ্গীর হোসেন, জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজেদুল ইসলাম, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দুহা, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আকমল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বকুল, সাবেক চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, সিরাজুল হকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলায় এবার তিন কোটি ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দে ২৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে ১৫ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের কাজ করা হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জগন্নাথপুর উপজেলার মাঠ কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসান জানান, ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজ চলছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজেদুল ইসলাম বলেন, সর্বাক্ষনিক হাওরের আছি। পরিস্থিতি এখন আগের চেয়ে অনেকটা ভালো।