বিশ্বম্ভরপুরে পানিতে ডুবে দুই ভাই নিখোঁজ
স্টাফ রিপোর্টার:
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মিয়ার চরে পানিতে ডুবে দুই ভাই নিখোঁজ।গত কাল মঙ্গলবার (২৯ জুন) বিকেলের দিকে নিখোঁজ হয় মেরাজুল ইসলাম ও খাইরুল ইসলাম। পরে তাদের অভিবাকরা অনেক খোঁজা খুঁজি করে তাদের সন্ধান পান নি। আজ বুধবার (৩০ জুন) দুপুর পর্যন্ত তাদের কোনও সন্ধান পাওয়া যায় নি।
স্হানীয়রা জানান, উপজেলার বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নের মিচারচর গ্রামের বাসিন্দা সবজি ব্যবসায়ী মুস্তফা মিয়ার ছেলে মেরাজুল ইসলাম(১২) ও খাইরুল ইসলাম(৭)।
মুস্তাফা মিয়া তার দুই ছেলেকে নিয়ে বাজারে যান। পরে ছোট ছেলে খাইরুল ইসলাম বাবার কাছ থেকে নদীর পাড়ে গেলে ফিরতে দেরি করায় তার বড় ভাই মেরাজুল ইসলাম খাইরুলকে খুঁজতে গিয়ে সেও আর ফিরে আসেনি। পরে গতকাল থেকে এপর্যন্ত অনেক খুঁজা খোঁজি করেও তাদের কোনো সন্ধান পায়নি পরিবার।
আজ সকালে তারা স্হানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে থানায় অভিযোগ জানান। সুনামগঞ্জে মূষল ধারে বৃষ্টি হওয়ার ফলে হাওরের পানি বৃদ্ধি পেয়ে চারিদিকে পানি বেড়েছে। তাই সন্দেহ করা হচ্ছে বাজারের পাশের নদীতেই ডুবে গেছে দুই ভাই। ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল ঐ স্হানে উদ্ধার তৎপররা চালাচ্ছে।
মিচারচর গ্রামের বাসিন্দা বাধাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি মরম আলী জানান, মঙ্গলবার বিকেলে মুস্তাফা মিয়া তার দুই ছেলেকে নিয়ে বাজারে যান। পরে ছোট ছেলে খাইরুল ইসলাম বাবার কাছ থেকে নদীর পাড়ে গেলে না ফিরার পর বড় ভাই মেরাজুল ইসলাম খাইরুলকে খুঁজতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। পরে গতকাল থেকে এপর্যন্ত অনেক খুঁজা খোঁজি করেও তাদের কোনো সন্ধান পায়নি পরিবার।
এবিষয়ে বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, আমাকে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউএনও সাহেব বিষয়টি জানিয়েছেন, পরে আমরা ফোর্স পাঠিয়েছি ঘটনাস্থলে। ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে উদ্ধার কাজ চলছে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদি উর রহিম জাদিদ জানান,আমরা ঘটনাস্থলে আছি। ডুবুরিদের সাহায্যে শিশুদের উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করছি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই শিশুর মধ্যে কাউকেই পাওয়া যায় নি।