সকাল ৮:৩৩,   শনিবার,   ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মিয়ানমার ইস্যুতে সশস্ত্র বাহিনী ও বিজিবিকে ধৈর্য ধরার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

নিউজসুনামগঞ্জ ডেস্ক:
মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ও বিজিবিকে (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের অনুপস্থিতিতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সংসদে বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বা প্যারামিলিটারি বাহিনীকে (বিজিবি) ধৈর্য ধারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।’

মজিবুল হক তার সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিচ্ছিন্নতাবাদী- সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী বাহিনীর মধ্যে অনেকটা যুদ্ধের মতো চলছে। যে কারণে সেখান থেকে সাধারণ মানুষ অনুপ্রেবেশের চেষ্টা করছে। গোলাগুলি হচ্ছে। সেই গোলা এসে বাংলাদেশে পড়ছে। পত্রিকার খবর অনুযায়ী, সেখানে (বাংলাদেশি সীমানায়) কিছু গোলাও পাওয়া গেছে। মানুষ নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বোধহয় বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় জানতে চাই, আমাদের বর্ডার এবং স্থানীয় মানুষের নিরাপত্তার প্রশ্নে সরকারের পক্ষ থেকে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘এ ব্যাপারে সরকার ওয়াকিবহাল আছে। আজকে যে ঘটনা ঘটেছে, মিয়ানমারের ৭৮ জন বর্ডার পুলিশ বাংলাদেশে চলে এসেছে। তাদের মধ্যে কিছু কিছু আহতও আছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের আপাতত একটা স্কুলে রাখা হয়েছে। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটা আলোচনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা সেই আলোচনা করার জন্য এবং তাদেরকে ফেরত পাঠানো, বা ফেরত যদি পাঠানো না যায়, তাহলে অন্যান্য ব্যবস্থা কী করা যায়, সেটাও করা হবে।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) যেটা হয়েছিল, মর্টার সেলে আমাদের একজন মারা গেছে। ওদেরও একজন মারা গেছে। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশ খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ওই ঘটনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বা প্যারামিলিটারি বাহিনীকে (বিজিবি) ধৈর্য ধারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। বর্ডারের স্কুল বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়। সূত্র:দেশ রুপান্তর