রাত ৪:৫০,   বৃহস্পতিবার,   ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,   ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   ২৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

হাওরের পানি আটকে রেখেছে ইজারাদার “চাষাবাদে অনিশ্চয়তা”

নাহিদ আহমেদ, শান্তিগঞ্জ
হাওরের পানি প্রবাহ আটকে রাখায় জলাবদ্ধতার কারনে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাখিমারা হাওর ও বড় হাওরের কয়েক হাজার একর জমি চাষাবাদের অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। বোরো আবাদের উপযোগী সময় পার হয়ে গেলেও পানির কারনে জমি চাষাবাদ না করতে পারায় বিপাকে স্থানীয় কৃষকরা। দ্রুত সময়ে স্লুইসগেট দিয়ে পানি অপসারণের দাবি কৃষক ও সর্বসাধারণের। 
জানা যায়, উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের বোরো ধানের অন্যতম হাওর পাখিমারা ও বড় হাওর। এই হাওর দু’টির পানি প্রবাহের ভারসাম্যতা বজায় রাখে মহাসিং নদীর তীরবর্তী বীরগাঁও বাজার সংলগ্ন স্লুইসগেইট।

স্থানীয় পাখিমারা রামগোটা জলমহাল গ্রুপ স্লুইসগেটটি তত্ত্বাবধান করে থাকেন। চলে আসা নিয়ম অনুযায়ী বাংলা ক্যালেন্ডারের অগ্রহানের শেষের দিকে স্লুইসগেট ছেড়ে পানি অপসারণ করার কথা থাকলেও রহস্যজনক কারনে হাওরের পানি আটকে রেখেছে ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট হাওরের কৃষকরা।
হাওরে পানি থাকায় জমিতে হালচাষ, চারা রোপণসহ চাষাবাদ করতে পারেননি চাষীরা। চাষাবাদে উপযোগী সময় অতিক্রম করলেও পানি অপসারণের কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় অনিশ্চতয়তায় পড়েছে হাওর দু’টির কয়েক হাজার একর বোরো জমি। দ্রুততম সময়ে পানি ছেড়ে না দিলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখোমুখি হবেন বলে জানিয়েছেন একাধিক চাষী।
পাখিমারা হাওরের কৃষক মহিরবুর রহমান বলেন, হাওরে আমার একহাল জমি রয়েছে। পানির কারণে আমি এক কেয়ার জমিও চাষ করতে পারিনি। জমি চাষ না করলে আমরা বছর পার করব কি ভাবে। সেই সাথে চাষের সময় পার হয়ে গেলেও বিলের ইজারাদাররা এখনো হাওরের পানি ছাড়ছে না।
কৃষক ফারুক আহমদ বলেন, কয়েক হাজার একর জমিতে এখনো পানি রয়েছে। বিলের ইজারাদার কেন পানি ছাড়ছে না তা আমাদের বোধগম্য নয়।
ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম বলেন, স্লুইসগেট বিলের লোকেরা দেখভাল করেন। আমরা এতে হস্তক্ষেপ করিনা। তবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন বলে জানান তিনি।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা সকিনা আক্তার বলেন, সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে পানি অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। 
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। শীঘ্রই ব্যবস্থা নিচ্ছি। আশা করছি দুয়েকদিনের মধ্যেই এই সমস্যার সমাধান হবে।